আকাশ সরকার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলের অন্যত্তম ব্যবসায়ী মাইনুল আবারো চালিয়ে যাচ্ছেন দেহ ব্যবসা। আর এই কাজ নির্বিঘ্ন করতে গড়ে তুলেছেন আলাদা বাহিনী। রাজশাহী লক্ষিপুরে অবস্থিত আবাসিক হোটেল মেঘনা এদের অন্যত্তম । রাজশাহী শহরে দূর-দূরান্ত থেকে আসা নিরীহ মানুষজন না বুঝে-শুনেই হোটেলে ওঠেন এই সব কুখ্যাত হোটেলে। আবার এই সকল হোটেলে অনেককেই জিম্মি করে আদায় করা হয় অর্থ। তবে মান-সম্মানের ভয়ে ঘটনার শিকার কেউই অভিযোগ দেননা স্থানীয় থানায়।
রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল মেঘনার প্রধান টার্গেট রাজশাহীতে অবস্থানকারী উঠতি তরুণরা। বিভিন্ন সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থেকেই হোটেলের দালালরা আহবান করতে থাকেন তরুণদের। অনেকেই এমন আহবানে বিব্রত হন। নাম মাত্র ভাড়ায় হোটেলটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিক যুগলকে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দেয়। প্রেমিকের সাথে এই হোটেলে এসে কেউ কেউ জিম্মি হয়ে পড়েন। একসময় এরাই যুক্ত হন হোটেল মালিকের সেক্স র্যাকেটে।
আজ থেকে ৬ মাস আগেও হোটেলে হোটেলে অভিযান চালিয়ে মানব পাচার মামলা দেয়া হতো। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন- সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর ডিবির ওসি মাশিয়ার রহমানের নেতৃত্বে এসআই আমিনুল, এসআই নুরুন্নবী বাবু সহ অনেকেই অভিযান করতে আসলেও নাম কা ওয়াস্তে আরএমপি ছাড়া কিছুই করেননা। আবার রাজশাহী মহানগর ডিবির এসিকেও কয়েক দফা মোবাইল ফোনে স্থানীয়রা অভিযোগ করলেও এ বিষয়ে তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি মহানগর ডিবির পক্ষ থেকে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে যে কোন সময়। ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অবৈধ এই কারবার বন্ধে এখনই উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com