নগর প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীর রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লা, স্কুল কোথাও বখাটের অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না কিশোরীরা। সবখানেই বখাটেদের দৌরাত্ম্য। স্কুলের সামনে ইভটিজিংয়ে জড়িত বখাটেরা কেবল কিশোর বয়সের নয়, এদের মধ্যে মধ্যবয়স্ক পুরুষও রয়েছে। এরা কেউ হয়তো রিকশাচালক কিংবা কেউ পেশায় দিনমজুর।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরে রয়েছে বখাটেদের নানা গ্রুপ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গামী মেয়েদের যৌন হয়রানি, ছিনতাই, চুরি, মাদক সেবন ও ব্যবসায় এরা জড়িত। ২০১৬ সালে বখাটের অত্যাচারে আত্মহত্যা করে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আমেনা। মোহনপুরের নবম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষাকে প্রতিবেশী বখাটে মুকুল অপহরণের পর ধর্ষণও করেছিল। পরে অপমানে আত্মহত্যা করে বর্ষা।
তবুও বন্ধ হয়নি বখাটেদের দৌরাত্ম্য। যৌন হয়রানির পাশাপাশি এরা ভয়ভীতি দেখাতেও পিছুপা হয় না। ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা না হওয়ায় ধর্ষণসহ নানা অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করে উঠতি বয়সের মেয়েরা।
বখাটেদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে এদের সচেতন করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান শিক্ষকরা।
রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম ইসাবেলা সাত্তার বলেন, এখানে যে শুধু বখাটেরাই উৎপাত করে তা নয়, বয়স্ক এবং রিকশাচালকরাও করে। এটি বন্ধে প্রত্যেক পরিবারকে সচেতন করতে হবে। তাদের পরিবারের ছেলেরা কোথায় যাচ্ছে কাদের সঙ্গে মিশে তার খোঁজ খবর নিতে হবে।
পুলিশের তালিকাভুক্ত বখাটেরা নজরদারিতে আছেন বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ। তিনি বলেন, এ ধরণের গ্যাং কালচার রাজশাহীতে সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না। আমরা জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বেই আছি। ইভটিজিং বন্ধে আমরা রাস্তাঘাট এবং স্কুল কলজের সামনে নজরদারি রাখছি।
রাজশাহী নগরীতে পুলিশের তালিকাভুক্ত বখাটে রয়েছে ৮৯ জন আর জেলায় রয়েছে ৯৭ জন।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.