স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সঙ্গে শিশু থাকায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে এক দম্পতিসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওই তিনজন হলেন- রবিউল ইসলাম, তার বন্ধু এহসান আলী ও এহসানের স্ত্রী সেলিনা খাতুন। আর তাদের সঙ্গে থাকা সাত বছর বয়সী শিশুর নাম মৌসুমী খাতুন। সে সেলিনার চাচাতো বোন।
জানা যায়, রবিউলের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ফাটাপাড়া গ্রামে। আর এহসানের বাড়ি পার্শ্ববর্তী হরিসপুর।
এহসানের সঙ্গে মানসিক দূরত্বের কারণে তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন চরবাগডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন।
তারা সবাই খারিজাগাতি কচিয়াপাড়া গ্রামে রবিউলের মামা মো. শামসুদ্দিনের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। ফেরার পথেই ছেলেধরা ভেবে তাদের আটক করেন গ্রামবাসী।
গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য দূর করতে রবিউল মঙ্গলবার ওই দম্পতিকে তার মামাবাড়ি বেড়াতে নিয়ে আসেন। আসার সময় সেলিনা তার চাচাতো বোন মৌসুমীকে সঙ্গে আনেন। রাতে থাকার পর সকালে তারা বাড়ি যাচ্ছিলেন।
ওই সময় সঙ্গে শিশু দেখে গ্রামবাসী তাদের আটকান। এর পর রবিউল ও এহসানকে গামছা দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাদের উদ্ধার করে। এর পর তাদের গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়।
ওসি জানান, তিনজনের পরিবারকে খবর দেয়া হয়। তারা আসার পর সবাইকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। নিছক ‘ছেলেধরা’ গুজবের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com