জেলা প্রতিনিধি,,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রংপুরে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে প্রতারণা, জালিয়াতি, রোগী হয়রানি, ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অভিযানে নেমে তারা দেখতে পান- জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিকের নেই কোনো নিবন্ধন।
শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা এ অভিযানে নগরীর তিনটি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। অর্থদণ্ডের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, স্বাস্থ্যখাতের অরাজকতা বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। বন্ধ করে দেওয়া হাসপাতালের মধ্যে রয়েছে, রংপুর নগরীর ধাপ এলাকার মা-বাবা জেনারেল হাসপাতাল, স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও পপুলার জেনারেল হাসপাতাল।এ ছাড়া স্পেশালাইজ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজারকে একমাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, পপুলার জেনারেল হাসপাতাল মালিককে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মা-বাবা জেনারেল হাসপাতাল মালিককে এক মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ড দেন।এ সময় নগরের প্রিন্স হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কমফোর্ড হাসপাতাল সতর্ক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান বলেন, ”রংপুর নগরের প্রায় ৭০ শতাংশ ক্লিনিকের বৈধ কাগজ নেই। অনেক প্রতিষ্ঠানকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (গোয়েন্দা) আবু মারুফ হোসেন জানান, স্বাস্থ্যখাতের অরাজকতা বন্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রংপুর সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, নগরীতে মাত্র ২২৯টি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন থাকলেও চালু রয়েছে সাড়ে পাঁচশটি।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.