যার লেখনীতে সাড়া দিলেন জেলা প্রশাসকসহ তথ্যমন্ত্রী:উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ইসলাম ধর্মে বর্ণিত আছে,শহীদের রক্তের থেকেও দামী সাংবাদিকের কলমের কালি। হ্যাঁ,কথাগুলো তখনই সত্যি মনে হয় যখন একজন সাংবাদিক তার কলমের কালি দিয়ে সমাজের বাস্তব চিত্রগুলো ফুঁটিয়ে তোলেন।আর ধীরে ধীরে সমাজে আসতে থাকে পরিবর্তন থেকে পরিবর্ধন,পরিমার্জন ও সংযোজন।

দৈনিক সোনালী সংবাদের রিপোর্টার রিমন তার উৎকৃস্ট উদাহারন। রিমন তার লেখনীতে নিয়ে আসেন সুমী নামের দিন খেটে খাওয়া একটি মেয়েকে। আর সেই সুমী রাজশাহী মহানগরীতে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।সুমির এই জীবন সংগ্রামকে সাধুবাদ জানিয়ে তার বর্তমান অবস্থার বর্ননা দিয়ে সাংবাদিক রিমন যে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তা সাংবাদিক সমাজ তথা সর্ব মহলে নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।

একটি সংবাদ যে সমাজের একাধিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম, তা আবারোও সাংবাদিক রিমন সভ্য সমাজকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তার এই লেখনীতে।তাই বলতেই হয় জয়তু রিমন।

অবশ্য সাংবাদিক রিমন সুমিকে নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রকাশ করেছেন তা রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়। তার পরপরই রাজশাহীর রিকশাচালক সুমি ক্রুসের খোঁজ নিয়েছেন খোদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তার নির্দেশনা মোতাবেক সুমির পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তিনি সুমিকে ব্যাটারিচালিত একটি নতুন রিকশা কিনে দিয়েছেন। এছাড়া সুমির পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই।

এর আগে সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল হামিদ সুমিকে তার কার্যালয়ে ডাকেন। এ সময় তিনি সুমিকে তিন হাজার টাকা, একটি মশারি এবং বেশকিছু খাদ্যসামগ্রী দেন। তারও আগে ভোরেই নগরীর সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি সুমিকে নিজের কার্যালয়ে ডেকে কিছু টাকা এবং খাদ্যসামগ্রী দেন।

রাজশাহী নগরীর ভদ্রা ও বাটার মোড় এলাকার দুই ব্যক্তি সুমিকে ডেকে নগদ টাকা দেন। কাজীহাটা এলাকার এক গৃহিনী দেন খাদ্যসামগ্রী। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকেই সুমিকে বিকাশের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করেন। তারা পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। নিউইয়র্ক এবং ইতালি থেকেও ফোন পেয়েছেন সুমি। সাংবাদিক রিমনের কাছ থেকেই সুমির নম্বর সংগ্রহ করেছেন একজন সহকারী পুলিশ সুপার এবং বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ আরও অনেকেই সুমির পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন।

মানুষের সহানুভূতিতে সুমি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, রাজশাহী শহরে আসার পর এই প্রথম এতো মানুষের ভালোবাসা পেলাম। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তার কাছে, যা কারনে আমাকে সবাই এতগুলো সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

অন্যদিকে, পিছিয়ে থাকেননি সাংবাদিক রিমনও। অভিনন্দন আর ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনিও।তার ফেসবুক ওয়ালে অসংখ্যা শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের কমেন্টে তিনিও এখন আবেগাপ্লুত।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.