নিজস্ব প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন:: রাজধানীর মালিবাগে পুলিশ ভ্যানে বিস্ফোরণের আগে এক যুবক গাড়িতে বোমা রেখে যায়। আগে থেকে রেখে যাওয়া বিস্ফোরকটি ছিল সময় ও দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত। প্রায় এক মাসের ব্যবধানে পুলিশকে টার্গেট করে পরপর দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় বেশ কিছু যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। গত রোববার রাতে মালিবাগে পুলিশ ভ্যানে বিস্ফোরণ ও গত ২৯শে এপ্রিল গুলিস্তানে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কাছে বিস্ফোরণের ধরন প্রায় একই।
তবে, মালিবাগের ঘটনায় তুলনামূলক শক্তিশালী বিস্ফোরক ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করা হয়। দুটি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কয়েকটি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, মালিবাগ রেলগেটের কাছে থাকা পুলিশ ভ্যানটিতে এক যুবক বিস্ফোরক রেখে যায়। রাত সোয়া নয়টা নাগাদ রেলগেট মোড়ে অপেক্ষমান পুলিশের বিশেষ শাখার ওই ভ্যানটিতে বিস্ফোরক রেখে যায় ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরকটি পুলিশ ভ্যানে রেখে নেমে যায় সে। পল্টন থানা পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, বিস্ফোরকটি ছিল সময় নিয়ন্ত্রিত।
৩০ মিনিট টাইমারও ঠিক করে দেয়া ছিল বোমাটিতে। পরে, রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে আশেপাশের কোন জায়গা থেকে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। এদিকে, ডিএমপির আরেকটি সূত্রে জানা গেছে ঘটনার আশপাশে থাকা কয়েকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোর মধ্যে মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইভারের ওপর থাকা ক্যামেরাটি রহস্যজনকভাবে ঘটনার আগের দিন থেকে নষ্ট ছিল। পুলিশ ভ্যানে বোমা রেখে যাওয়ার আগে আশপাশের ঘটনাস্থল বেশ কয়েকদিন ধরে রেকি করা হয় বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার ক্লু এড়াতে আগের দিন ফ্লাইওভারের সিসিটিভির ক্যাবল কেটে রাখা হতে পারে বলেও সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া, ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্লোজসার্কিট ক্যামেরায় ঘটনাস্থল পর্যন্ত দেখা যায় না। এসব কারণে বিস্ফোরক রেখে যাওয়া ওই যুবকের চেহারা স্পষ্ট বোঝা যায়নি। তবে, বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যরা মূল টার্গেট ছিল বলে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার আগে বিভিন্ন সময় ট্রাফিক পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক রাশেদা আক্তার পুলিশ ভ্যানটির আশেপাশে ছিলেন। তবে ভ্যানে ওঠার ঠিক তিন মিনিটের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com