বাগমারা থানা প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহী বাগমারা উপজেলায় অর্পিত সম্পদ দখল নিতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে দুইটি গ্রাম। ঘটনাটি ঘটতে চলেছে বাগমারা উপজেলার আউসপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণপুর ও কৃষ্ণপুর গ্রামে।
ঘটনা সুত্রে জানাযায়, শতবর্ষ পূর্বে বিষ্ণপুর ও কৃষ্ণপুরসহ আশে পাশের এলাকা ছিলো হিন্দু অধ্যাষিত। কিন্তু ঐ এলাকায় মুসলমানদের সেরকম কোন জমি না থাকায় বিষ্ণপুর গ্রামের মুসলমানদেরকে এক একর তেইশ শতক জমি ভোগদখলের জন্য লিখিতভাবে দিয়ে যায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়। যার মৌজা বিষ্ণপুর, খতিয়ান নং সি এস -২৬১, দাগ নং ১২৭৬, জেল নং২৫। কিন্তু সে সময় সমাজের সম্মানিত ব্যাক্তি হিসেবে গতি হাজির জিম্মায় দেয়া হয়। সে থেকে ঐ জমি বিষ্ণপুর গ্রামের মুসলমানরা সমাজ উন্নয়নের জন্য ব্যাবহার শুরু করে। পরবর্তীতে গতি হাজির মৃত্যু হলে উত্তরাধিকারী সূত্রে সে জমি তার ছেলে চাঁন মোহাম্মদ এর জিম্মায় রেকর্ড হয়। সে সময়ও বিষ্ণপুর গ্রাম একটায় ছিলো অর্থাৎ কোন পাড়া বিভক্ত ছিলোনা। এরপর চাঁন মোহাম্মদের মৃত্যুর আগেই বিষ্ণপুর গ্রাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়। উত্তরপাড়া ও দক্ষিনপাড়া নাম করন হয়। চাঁন মোহম্মদের মৃত্যু হলে দক্ষিনপাড়া মসজিদ কমিটির পক্ষে ১। মোতাওল্লি ২। আলিমুদ্দিন প্রামানিক ৩। পিংকটির প্রামানিক এর নামে বিষ্ণপুর দক্ষিনপাড়া উল্লেখ করে রেকর্ড হয়। যা সম্পুর্ন পরিকল্পিত ও নিয়ম বহির্ভূত। বিষ্ণপুর দক্ষিনপাড়া উল্লেখ হলেও কেউই জানতো না বিষয়টি। উক্ত জমির উত্তর পাশদিয়ে একটি রাস্তা তৈরি শুরু করলে দক্ষিনপাড়ার লোকজন এসে বাধা প্রদান করে। এখান থেকে শুরু হয় উত্তেজনা। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরপর থানা অবদি গড়ায় বিষয়টি। বাগমারা থান দ্বায়িত্ব দেন হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক রফিকের উপর। সেখানেও পক্ষপাতিত্যেও গন্ধ ছড়ালে আবারো উগ্রো হয়ে উঠে গ্রামবাসি। পরে কোর্টে মামলা হয় এবং জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু এখানেও কোর্টের আদেশকে অমান্য করে ১৪৪ ধারাজারি করা পুকুরে, মাছ মারে বিষ্ণপুর দক্ষিনপাড়ার লোকজন। উত্তরপাড়ার লোকজন নিষেধ করতে গেলে উল্টো দক্ষিনপাড়ার লোকজন গালিগালাজ করে এবং মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে। বিষয়টি হাট গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে বিষয়টি দেখবো অভিযোগকারিদের চলে যেতে বলেন।
এরপর ঘটনাটি মিডিয়াকর্মীদের নজরে আসে। সরেজমিনে যায় মিডিয়াকর্মী। অনুসন্ধান করতে থাকে ঘটনার পেছনের ঘটনা। ১৯২০ সালে গতি হাজির জিম্মায় দেওয়া হয় ঐ অর্পিত সম্পত্তি। কিন্তু সেটি দেওয়া হয় ঐ এলাকার মুসলমানদের জন্য। যা পরবর্তীতে অর্থাৎ ১৯৬২ সালে গতি হাজির ছেলে চাঁন মোহাম্মদ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে নিজের জিম্মায় রেকর্ড করে নেয়। তখনো বিষ্ণপুর এলাকার মুসলমানদের জন্য ছিলো। এরপর ১৯৭২ সালে নুর মোহাম্মদ গোপনে মুত্তাওয়াল্লিসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে ষড়যন্ত্র প্রনোদিতভাবে দক্ষিনপাড়ার নামে রেকর্ড করে নেয়। যা সম্পুর্ন বে-আইনি। আর এই কাজটি করেছে কারন তিনি সেসময় নুর মোহাম্মদ সেটেলমেন্টের আমীন ছিলেন। তিনি সেটেলমেন্টের আমীন হওয়ার সুবাদে সু-কৌশলে এই কাজটি করে নেয়। তবে এই বিষয়ে এলাকাবাসির সাথে কথা বললে তারা বলেন, মুসলমানদের জন্য দান করা সম্পত্তি নিজের নামে কিভাবে হয়? আর এই জমি বিষ্ণপুর গ্রামের মুসলমানদের ভোগদখলের জন্য ছিলো কিন্তু সেই জমি কিভাবে দক্ষিনপাড়া উল্লেখ করে রেকর্ড হয়? এই রেকর্ড সম্পুর্ন ভুল ও বে-আইনি। আমরা এই রেকর্ড মানিনা এবং এই ষড়যন্ত্রের সাথে যারা কাজ করছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকারিদের বিচার চায়।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.