নকল সিগারেটের সফল অভিযানকে পুঁজি করে রাজশাহী মহানগর ডিবির গ্রেফতার বানিজ্য

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

নকল সিগারেটের সফল অভিযানকে পুঁজি করে রাজশাহী মহানগর ডিবির গ্রেফতার বানিজ্যনিজস্ব প্রতিবেদক :: রাজশাহী মহানগর ডিবির অধিকাংশ অভিযান এখন প্রশ্নবিদ্ধ।রাজশাহী মহানগর ডিবির নেপোটিজম নিয়ে একাধীক সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেই রাজশাহী মহানগর ডিবির ৪১ সদস্য পরিবর্তনেও আসেনি কাজের বৈশিষ্ট্য। সম্প্রতি নকল সিগারেট আটকের মধ্য দিয়ে রাতারাতি মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় নকল সিগারেটের অভিযান।আর এই নকল সিগারেটের সফল অভিযানকেই পুঁজি করে গ্রেফতার বানিজ্য চলছে আড়ালে আবডালে।মামলার ধারা কমানোর নামে টাকা আদায়ে এবার রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের একাধীক বানিজ্যের খবর এসেছে গনমাধ্যমের কাছে।

অনুসন্ধান -১
গেল শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন মিজানের মোড় এলাকা থেকে ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয় ২ জনকে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে রাজশাহী মতিহার থানাধিন ডাঁশমারী পূর্বপাড়া এলাকার মৃত আতেব আলীর ছেলে মোঃ সুমন আলী (২৮) ও একই এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ রনি রহমান কুতুব (২৫)।

অথচ সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, রনি রহমান কুতুব ডাঁশমারী পূর্বপাড়ার একজন মাংস ব্যবসায়ী। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। অথচ ঘটনার দিন কুতুব পাওনা টাকা নেয়ার জন্য সুমনের কাছে গিয়েছিল কিন্তু তারপরেও কুতুবকে ফেন্সিডিল দিয়ে চালান দেয় ডিবি।

অবশ্য ১ ঘন্টা যাবৎ দেন-দরবারে ডিবির ঐ টিম কুতুবের কাছে ৫০ হাজার ও মাদক ব্যবসায়ী সুমনের কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করে।

এদিকে সুমন ও কুতুব ডিবির দাবিকৃত অর্থ না দেয়ায় উভয়কেই ১০০ পিচ ফেন্সিডিল দিয়ে চালান দেয়া হবে বলে তাদের পরিবারকে জানায় ডিবি পুলিশ।

এসময় কুতুবের পরিবার মামলা থেকে বাঁচতে তালাইমারী এলাকার জিল্লু নামের এক স্থানীয় ব্যাক্তির মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা রাজশাহী মহানগর ডিবির কার্যালয়ে এসে ঐ টিমের একজনকে টাকা দিয়ে যায়।

রাজশাহী মহানগর ডিবি টাকা প্রাপ্তির পর পরেই কুতুবকে ২টি ফেন্সিডিল ও মাদক ব্যবসায়ী সুমনকে ১০টি ফেন্সিডিল দিয়ে চালান দেয়া হয়।

উল্লেখ্য যে, সদ্য মতিহার থানা থেকে বিদায়ী এসআই রহমান সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর ডিবিতে যোগদান করার পরপরেই অত্র এলাকায় গ্রেফতার বানিজ্য জড়িয়ে পড়েন।গ্রেফতার অভিযানে নিজে না থাকলেও সহকর্মীদের লেলিয়ে দেন বিভিন্ন গ্রেফতার বানিজ্যে।

অথচ রাজশাহী মহানগরীর স্থানীয় ডাঁশমারীর এলাকাবাসীরা জানান, সুমনের কাছ থেকে ৫৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছিল।অথচ তাকে ৫৬ পিচ ফেন্সিডিল দিয়ে চালান না দিয়ে নিরপরাধ কুতুবকেও ফেন্সিডিল দিয়ে চালান দিয়েছে ডিবি পুলিশ।যা অত্যন্ত দু:খজনক।একজন নিরীহ মানুষকে মাদক ছাড়া এভাবে গ্রেফতার করে সমাজে তার মান ক্ষুন্ন করার কোন মানেই হয়না।

অনুসন্ধান -২
গত ২৩.১০.২০২০ইং তারিখে রাজশাহী মহানগর ডিবির এসআই জোবায়ের ও তার দল ১০৫ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেন।অথচ সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানিয়েছিলেন সেখানে ২৮০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

অনুসন্ধান -৩
রাজশাহী মহানগর ডিবি লক্ষিপুর মোড়ে স্যাম্পল ওষুধের রমরমা ব্যবসা বন্ধে যে অভিযান পরিচালনা করেছিল অনেকেই বলছেন তা ছিল নাটকীয়।কেননা প্রতি সপ্তাহে ডিবি পুলিশ এই অঞ্চল থেকে একটা মাসোহারা নিয়ে যেত।কিন্তু সম্প্রতি সময়ে মাসোহারা দেয়া বন্ধ হলে সরাসরি অভিযানে চলে যায় ডিবি।

তাই তো সুশীল সমাজের ধারকরা বলছেন – রাজশাহী মহানগর ডিবিকে নকল কারখানা,ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত খবর দিলেও তারা ঐ সকল অভিযানে যেতে গড়িমসি করে অথচ আজ সামান্য স্যাম্পল ওষুধের অভিযান রাজশাহী মহানগর ডিবি কি তাদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহিরে ব্যাস্ত?

এদিকে রাজশাহী মহানগর ডিবি কর্তৃক উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন, নববার্তা ভোরের আভা,বিডিটুডে, দৈনিক মাতৃভূমির খবরসহ বেশ কিছু সাংবাদিকদের ফোন রিসিভে আনঅফিসিয়ালী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।বিধায় উক্ত বিষয়ে কোন এসআই কিংবা এএসআই ফোন ধরেননি।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.