নিজস্ব প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন  :: রাজশাহীর তানোরে ইভটিজিং ও এসিড নিক্ষেপ হুমকির মুখে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর (১৩) চার দিনযাবত স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউপির বাতাসপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাড়িশো উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, অরুন ভৌমিকের ভয়ে আমাদের স্কুলের ওই ছাত্রী স্কুলে আসে না। আমরা বখাটে অরুনের দৃস্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই ছাত্রীর পিতা খুব গরীব। আর অরুন ভৌমিকরে পিতা গয়ানাথ ভৌমিক প্রভাবশালী। তাই ওই ছাত্রীর পিতা তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছেনা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের বাতাসপুর গ্রামের রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবশালী গয়ানাথ ভৌমিকের পুত্র অরুণ ভৌমিক দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। স্কুলে যাতায়াতের পথে নানা ভাবে উত্যক্ত করে আসছে। এছাড়াও তাকে ঢাকা বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যর্থ হয়। সম্প্রতি জনৈক ওই ব্যক্তি ওতার স্ত্রী বাড়িতে না থাকার সুযোগে অরুণ তার বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেস্টা করে।

ওই ছাত্রীর চিৎকার দিলে অরুণ ওই ছাত্রীকে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য শাসিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেন,তার কথার অবাধ্য হলে স্কুলে যাবার পথে তার মূখে এসিড মেরে খারাপ মেয়ে আঙ্খ্যা দিয়ে সমাজচ্যুত করে এলাকা ছাড়া করা হবে। এ ঘটনার পর থেকে অজানা আতঙ্ক নিয়ে মেধাবী ওই স্কুল ছাত্রী স্কুলে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, অনেক আগেই অরুণের বিরুদ্ধে তানোর থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অরুনের ভয়ে আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এবিষয়ে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তবে এবিষয়ে অরুন ভৌমিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

পারিশো উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম কমল বলেন, অরুন ভৌমিকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পিতার ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু অরুণ ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে খারাপ কথা বার্তা বলায় বিষয়টি জানানি হয়ে যায়। আমি পরে শুনেছি অরুনের ভয়ে আমাদের স্কুলের ওই ছাত্রী চার দিন যাবত স্কুলে আসছেনা।

তানোর থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।