গোদাগাড়ী সীমান্তে অবৈধভাবে চৌকি বসিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ:উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সীমান্তে অবৈধভাবে অস্থায়ী চৌকি বসিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাহেবনগর সীমান্তে নোম্যান্সল্যান্ডে বিএসএফ এই চৌকি বসায়। সোমবার সকালে বিজিবি সদস্যরা সেখানে গেলে বিএসএফ সদস্যরা পালিয়ে যায়।

রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের কমাণ্ডার লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, বিজিবি’র একটি সূত্র বলছে, ওই চৌকি নির্মাণের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি পাঠিয়েছিল বিজিবি। কিন্তু বিএসএফ সেই চিঠি গ্রহণ করেনি।

সূত্র জানায়, সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির এক কিলোমিটার পূর্বদিকে পদ্মা নদী থেকে বের হয়ে একটি কাটা নদী উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী হয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার চরলবণগোলা এলাকায় ঢুকেছে। তবে কাটা নদীটির ভাঙনে সেখানকার সীমানা পিলারগুলো গত বছরই নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সম্প্রতি কাটা নদীতে পানি কমে গিয়ে পশ্চিমপ্রান্তে বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে ছোট একটি চর পড়েছে। নোম্যান্সল্যান্ড সংলগ্ন চরটিতে গিয়ে কিছুদিন ধরে বিজিবি সদস্যরা টহল দিতেন। চরটি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত বলে নৌকা ছাড়াই পায়ে হেঁটেই বিজিবি সদস্যরা সেখানে যাতায়াত করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিএসএফ সদস্যরা রাতারাতি বাঁশের মাচা পেতে ওপরে খড় ও পাটকাঠি দিয়ে একটি অস্থায়ী চৌকি তৈরি করে। পর দিন শনিবার সকাল থেকে ভারতের চরলবণগোলা ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়ে টহল দেন।

এলাকাবাসী জানান, বিজিবি সদস্যরা রোববার দিনের বেলায় একবার ও রাতের বেলা আরেকবার চরের কাছাকাছি গিয়ে চলে যাওয়ার সিগন্যাল দিলে বিএসএফ সদস্যরা চৌকি ছেড়ে পালিয়ে যান। রাতে আবারও নৌকাযোগে গিয়ে বিএসএফ সদস্যরা চরে ওঠার চেষ্টা করলে খবর পেয়ে বিজিবি চরে গিয়ে অবস্থান নেয়। ফলে বিএসএফ নৌকা ঘুরিয়ে ভারতের ভেতরে চলে যায়। তবে গভীর রাতে বিএসএফ আবারও চরের অস্থায়ী চৌকিতে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে সোমবার সকালে বিজিবি সেখানে গেলে বিএসএফ সদস্যরা পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, সীমান্তের নতুন এ চরটির সঙ্গে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড সংযুক্ত। চরের আশপাশে রয়েছে বাংলাদেশের ফসলি জমি। যেখানে কৃষকরা নিয়মিত চাষাবাদের কাজ করতেন। কিন্তু বিএসএফ সেখানে অস্থায়ী চৌকি বসানোই কৃষকরা জমিতে নামতে পারছেন না। নিরাপত্তায় সেখানে বিজিবির অস্থায়ী চৌকি চেয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এ ব্যাপারে রাজশাহী-১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ডেলটা কোম্পানির কমান্ডার নায়েব সুবেদার শওকত আলী সাংবাদিকদের জানান, বিএসএফ সদস্যরা যেখানে অস্থায়ী ছাউনিটা করেছে, সেটি নোম্যান্সল্যান্ডের ওপরে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নোম্যান্সল্যান্ড থেকে নিজ নিজ সীমানার ১৫০ গজ ভেতরে চৌকি স্থাপন করতে হবে। কিন্তু হঠাৎই গড়ে ওঠা এই চৌকিটা দেখতে পেয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের চরলবণগোলা কোম্পানিকে চিঠি ও বিভিন্ন মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি বলে জানান তিনি।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.