মাজহারুল ইসলাম চপল, রাজশাহী :: দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পুকুর প্রভাব খাটিয়ে জবর দখল করে রেখেছে পাশর্^বর্তী এলাকা মির্জাপুর গ্রামের মোঃ মামুন নামের এক ব্যক্তি। ঘটনাটি রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামের মৃধার ডাং এলাকার।
সুত্রমতে, রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামের মৃধার ডাং পাড়ায় ১.৯ একর একটি পুকুর রয়েছে। যা সম্পুর্ন সরকারের ঘাঁস সম্পত্তি। মৌজা- আলোকছত্র, জেএল নং- ১২৪, দাগ নং- ৭১৭। এই পুকুরটি দীর্ঘদিন থেকে সরকার বিভিন্ন মেয়াদে টেন্ডার বা লীজ দিয়ে থাকে। সরকারের এই নিয়ম অনুসারে টেন্ডারের মাধ্যমে লীজ পায় পলাশ মৎসচাষী সমবায় সমিতি লিঃ। আর এই সমিতির পক্ষ থেকে ৩ বছর মেয়াদে ঐ পুকুরের মাছ চাষের জন্য দ্বায়ীত্ব দেওয়া আব্দুল্লাহ ইউসুফ রিপনকে। আব্দুল্লাহ ইউসুফ রিপন যথা নিয়ম অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক গোদাগাড়ি শাখায় চলান ফরমের মাধ্যমে টাকা জমা দেন, যার কপি রয়েছে। কিন্তু উক্ত পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরেই অবৈধ্যভাবে জবর দখল করে রেখেছে মামুন নামের এক ব্যাক্তি। আব্দুল্লাহ ইউসুফ রিপন জানায় ( বাংলা)১৪২৭ সনের ১ লা বৈশাখ থেকে আমাকে দেওয়া হলেও আমি এখনো ঐ পুকুরটিতে যেতে পারছিনা। কারন মামুন নামের ঐ ব্যাক্তি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করছে। তিনি বলেন আমি বার বার এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারকে অবগত করলেও কোন সমাধান পাইনি। তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তার নায্য ও হক সম্পত্তি যেন বুঝিয়ে দেওয়া হয় এই মর্মে গত ১৬ আগষ্ট ২০২০ তারিখে উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারি কমিশনার (ভুমি) এর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, এই পুকুরটি দীর্ঘদিন ধরে পাশের গ্রামের মামুন নামের এক ব্যাক্তি মাছচাষ করে আসছে। কি হিসেবে মাছচাষ করছে জানতে চাইলে এলাকাবাসি বলে পুকুরের ০৯ শতক জমি রয়েছে ব্যাক্তি মালিকানা আর ঐ ব্যাক্তি মালিকের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোটা পুকুরের মাছচাষ করে চলেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন , পুকুর দখলকারি মামুন খুব খারাপ প্রকৃতির লোক। মামুন কাউকেই পরোয়া করেন না। তার সাথে কয়েকজন রয়েছে যারা সব সময় মামুনকে সাপোর্ট দেয়। তাদের নাম জানতে চাইলে বলেন, মামুনের এলাকার হাবিবুর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমান মুক্তা এরা সব সময় তার সাথেই থাকে আর মামুনকে সকল খারাপ কাজে সমর্থন করে। যেমন তাদের যোগসাজসে মাত্র কয়েকদিন আগেও এখান থেকে মাছ মেরেছে। তার মেয়াদ শেষ হলেও এই পুকুরের দখল দিবেনা কাউকেই বলে এলাকাবাসিকে জানায়।
এবিষয়ে পুকুর দখলকারি মামুনের সাথে ০১৭৩৭-১৫২২৮৬ নাম্বারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ঐ পুকুরে মাছচাষ করে আসছি। আমার বিষয়ে চেয়ারম্যান জানে। আমি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে মাছচাষ করি। তার কাছে সরকারের দেওয়া লীজ বা অনুমতির কোন কাগজ আছে কি না জানতে চাইলে, তিনি শহরে এসে দেখা করার প্রস্তাব দেন। এবং দলের বিভিন্ন নেতাদের সাথে সক্ষতা আছে বলে জানান। তবে ঐ এলাকার অর্থাৎ রিশিকুল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার মজিবর রহমানের সাথে দেখা হলে তিনি বলেন, আমার এলাকাতে এরকম হওয়ার কোন সুযোগ নাই । কাগজ যার পুকুর তার। কাগজপত্র যদি ঠিক থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে পুকুর দেওয়া হবে। কেউ যদি অন্যায় ভাবে পুকুর দখলের চেষ্টা করে তাহলে তাকে আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com