স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছেন, যিনি কিছু দিন আগে কারাগার থেকে বেরিয়েছিলেন।
রফিকুল (৩৭) নামে ওই ব্যক্তি শুক্রবার রাতে পুলিশের এক অভিযানের সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান বলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন।
তবে রফিকের পরিবারের দাবি, তাকে আগেই বাড়ি থেকে ধরে নিয়েছিল পুলিশ।
নিহত রফিক মাদক চক্রে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ দাবি। তিনি যেখানে মারা যান, সেখানে ইয়াবা উদ্ধারের কথাও বলা হয়েছে।
একটি মাদক মামলায় দুই মাস হাজত খেটে গত ৯ জুনে জামিনে বেরিয়েছিলেন রফিক।
পুলিশ কর্মকর্তা নাসির সাংবাদিকদের বলেন, “রাত ১২টায় পুলিশ সংবাদ পায় হররা মাঠে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলছে। পুলিশের একটি টহল দল সেখানে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে সবাই পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ রফিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, “রফিক পরিবহন শ্রমিক পরিচয়ের আড়ালে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।”
রফিক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের মৃত মহন মন্ডলের ছেলে।
তার স্ত্রী মিতা খাতুন (৩২) দাবি করেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার দুদকুমড়া গ্রামে শ্বশুর দাউদ আলীর বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নেওয়া হয়েছিল রফিককে। এরপর থেকে থানা বা পুলিশ লাইনে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তবে রফিককে আগে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.
Subscribe to get the latest posts sent to your email.