কুকুর-বিড়ালকে খাবার খাওয়ানো ইবাদতের অংশ

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

কুকুর-বিড়ালকে খাবার খাওয়ানো ইবাদতের অংশস্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: একটি তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা এক পাপিষ্ঠা নারীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। অপর এক ব্যক্তিও কুকুরকে পানি পান করিয়ে নাজাত পেয়েছিল। [বোখারি ও মুসলিম] এক লোক নবী কারীম (স.)-কে কুকুর-বিড়ালকে পানি পান করালে সাওয়াব হবে কি না? এমন প্রশ্ন করলে উত্তরে নবী কারীম (স.) বলেছিলেন, যে কোনো প্রাণীকে খাদ্য বা পানীয় দিলে কিংবা সেবা করলে সাওয়াব আছে। [বোখারি ও মুসলিম] আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যা কিছুই তোমরা আল্লাহর জন্য খরচ করবে তার বদলা আল্লাহর নিকট পাবে। তিনি অতি উত্তম ও বিশাল বিনিময় দিয়ে থাকেন। আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাক। নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু। [আল-কুরআন, মোজ্জাম্মিল-২০]

কোনো অস্বাভাবিক অবস্থায় যখন মানুষ কর্মতৎপর থাকে না, তখন দুনিয়াব্যাপী অচল অবস্থা দেখা দেয়। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। অভূতপূর্ব চরিত্রের কোভিড-১৯ পৃথিবীকে স্থবির করে দিয়েছে। মানুষকেও ঘরে বসিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে সব মানুষের ওপর দায়িত্ব এসেছে একে-অপরের খোঁজ-খবর রাখার। যার নেই তাকে তারা দেবে, যাদের আছে। এই মূলনীতিতে দুনিয়ার বহু সমস্যা সমাধান করা যায়। কোরআন ও হাদিস এ ধরনের নীতি ও উৎসাহ দিয়েছে। মানুষ ছাড়াও মানুষের সাথে বসবাসকারী জীবজন্তু, পশুপাখি এসব বিপদের সময় সমস্যায় পড়ে। যে সব বন্যপ্রাণী মানুষ থেকে দূরে, তাদের বেঁচে থাকার সব আয়োজন আল্লাহ তায়ালা প্রকৃতির মাধ্যমেই করে থাকেন। আল্লাহর বিশাল রিজিক দান ও বণ্টন ব্যবস্থায় সৃষ্টিজগত চলে।

পৃথিবীতে বিচরণকারী এমন কোনো বস্তু নেই যার রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালার ওপর নয়। [আল-কুরআন] তবে এর উৎপাদন, সংরক্ষণ, বণ্টন ইত্যাদিতে আল্লাহ মানুষকে অনেক দায়িত্বশীল করে দিয়েছেন। যেমন- শিশুদের খাদ্য মা-বাবা কিংবা বড়রা পৌঁছে দেয়। পরিবারের কর্তা বাকি সদস্যদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করেন। রাষ্ট্র দেশবাসীর খাদ্য ও জরুরি সকল বিষয়ের পরিকল্পনা, সরবরাহ, তত্ত্বাবধান, বণ্টন ইত্যাদি দেখভাল করেন। অভাবী, অথর্ব, অতি বৃদ্ধ, এতিম, বিধবা, মিসকিন কিংবা সাময়িক অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের দায়-দায়িত্ব সমাজের সমর্থ ব্যক্তিদের ওপর। গৃহপালিত পশু কিংবা খামারে রক্ষিত পশুপাখি দুর্যোগের সময়ও তার মালিকের জিম্মায় থাকে। যে কোনোভাবে তাদের আহারের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা কবুতর বা পাখি পালেন কোনো অবহেলা করে তাদের অভূক্ত রাখলে কঠিন আজাব হবে।

এক মহিলা বিড়ালকে আটকে রেখেছিল। খাদ্যও দেয়নি, তাকে ছেড়েও দেয়নি। বিড়ালটি মারা যায়। এ মহিলাকে জাহান্নামে অব্যাহতভাবে একটি বিড়াল খামচাচ্ছিল। এ দৃশ্য মহানবী (স.)-কে জাহান্নাম পরিদর্শনের সময় আল্লাহ তায়ালা দেখিয়েছেন। এ হাদিসটি বোখারি ও মুসলিম উভয় কিতাবে আছে। নবী কারীম (স.) বলেছেন, দুনিয়াতে যারা দয়ালু তাদেরকেই পরম দয়ালু আল্লাহ দয়া করেন। তুমি দুনিয়াবাসীর ওপর দয়া কর, ঊর্ধ্বজগতের অধিপতি আল্লাহ তোমার ওপর দয়া করবেন। [তিরমিযি]


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.