নগর প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::চিকিৎসা সেবা নিয়ে বারংবার অভিযোগে যখন নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে কর্তারা তখন দ্বায়ভার অনেকটা মিডিয়ার উপর বর্তায়। আবার চিকিৎসকরা বলে থাকেন - সাংবাদিকরা ডাক্তার আর ক্নিনিকের ভুল হলেই পেছনে লেগে পড়েন। আসলে কি তাই ?
সংবাদ তখনই প্রকাশ পায় যখন চিকিৎসা বা চিকিৎসকের অবহেলায় কোন রুগী যখন মারা যান ঠিক তখন। সম্প্রতি রাজশাহীতে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে রুগীর মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়।কিন্তু তারপরও সিভিল সার্জনের ভ্রুক্ষেপ নেই এই বিষয়গুলো নিয়ে। অনেকটা নাকে সরিষার তেল দিয়েই ঘুমচ্ছেন সিভিল সার্জন। রাজশাহীর সরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ। এর কারণ কী? ডাক্তাররা কি তাহলে হাসপাতালে থাকেন না? ডাক্তাররা কি খারাপ?
মোটেই বিষয়টি তা নয়। গ্রাম থেকে আসা অসংখ্য রোগীর চিকিৎসা সুবিধার নেয়ার সরাসরি অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় রামেক হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিন থেকে চার গুণ রোগী বেশি থাকেন প্রতিদিন। বহির্বিভাগে সামর্থ্যরে চেয়ে তিন চার গুণ বেশি রোগী দেখতে হয় ডাক্তারদের। স্বাভাবিকভাবেই সব রোগীর প্রতি যথাযথ মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। কোনো কোনো ডাক্তারের আচরণগত সমস্যা আছে বৈকি। ডাক্তাররা প্রতিদিন তার সামর্থ্যরে বাইরে পরিশ্রম করছেন।
গেল ৫ দিন আগে কয়েকদিন আগে বানেশ্বর থেকে আসা এক রুগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে জমজম ইসলামী হাসপাতালে অপারেশন করতে চান সার্জারির ডা: মাহাবুল আলম। কিন্তু পরবর্তীতে তড়িঘড়ি করে রাজশাহী উপশহরের পাশেই অবস্থিত কায়সার মেমোরিয়াল হাসপাতালে ঐ রোগীর অপারেশনের সময় সার্জারির ডা: মাহাবুল আলম এর হাতেই অপারেশনের সময় ঐ রুগীর মৃত্যু হয়। এদিকে রুগীর মৃত্যুতে রুগীর স্বজনরা কায়সার মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে পেশী শক্তির জোরে কায়সার মেমোরিয়াল হাসপাতালে পরিচালক ডাঃ লিংকন ১লক্ষ টাকার বিনিময়ে আপোষ করতে বাধ্য করেন মৃত রোগীর স্বজনদের সাথে।
এখন প্রশ্ন তাহলে কি মামলা হয়েছে ? না, মামলা হয়নি স্থানীয় ক্ষমতাধর ব্যাক্তি ও স্থানীয় থানাকে ম্যানেজ করতে সক্ষম হয়েছেন ডাঃ লিংকন।সেই সাথে ডাঃ লিংকন ঘোষণা করেছেন - কোন সাংবাদিক যদি কায়সার মেমোরিয়াল হাসপাতালে রুগীর মৃত্যু নিয়ে কোন কিছু প্রকাশ করার চেষ্টা করে তবে ঐ সাংবাদিককে জায়গা মত নিয়ে যেয়ে প্যাঁদানি খাওয়ানো হবে।
কে এই ক্ষমতাধর ডাঃ লিংকন ?
রাজশাহী উপশহরের পাশেই অবস্থিত কায়সার মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক ও এফকেসি সুইমিং পুলের পরিচালক ডাঃ ফয়সাল কবির চৌধুরী লিংকন ।
এশিয়া মহাদেশের অন্যতম প্রয়াত ডাঃ কায়সার রহমান চৌধুরীর ছেলেই ডাঃ লিংকন। অহংকার ও শক্তির জোরেই তিনি ডাঃ লিংকন। রুগীর সাথে খারাপ ব্যবহার, স্থানীয় ব্যাক্তিদের অসন্মান,জুনিয়র সহকর্মীদের অসাদাচরনসহ বিভিন্ন অনিয়মের গুরুদেব ডাঃ লিংকন । উনার কথায় নাকি সাংবাদিক উঠেন বসেন এমনটাই বক্তব্য তার ।
প্রকাশক:ফাহমিদা খান, প্রধান সম্পাদক:এম.এ.হাবিব জুয়েল,বার্তা সম্পাদক : রমজান আলী কর্তৃক উত্তরা ক্লিনিক মোড়,উপশহর,বোয়ালিয়া,রাজশাহী-৬২০৩,বাংলাদেশ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত।বার্তা কক্ষ ০১৭১৫৩০০২৬৫ । ইমেইল: uttorbongoprotidin@gmail.com