স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: করোনার উপসর্গ থাকায় শনিবার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) করোনাভাইরাস পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯টি নমুনাই পাবনা জেলা থেকে আসা, অন্য দুটি গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও বগুড়া থেকে সংগ্রহ করা হয়। তবে শুক্রবার কোন নমুনা সংগ্রহ বা পরীক্ষা করা হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ল্যাবের ইনচার্জ ও রামেকের ভাইরোলজী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাবেরা গুলনেহার। ল্যাব স্থাপনের পর এপর্যন্ত ২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।

এদিকে রাজশাহী খ্রিষ্টান মিশন হাসপাতালের ২৩ বছরের একজন নার্সের সর্দি, কাশি, গলাবেথা ও ১০৫ ডিগ্রি জ্বরসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার নমুনা করোনাভাইরাস পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হবে রবিবার। এই রোগীর কনট্যাক্ট হিস্ট্র পাওয়া যায়নি। তবে স্বাস্থ্য কর্মী হওয়ার সুবাদে তিনি বিভিন্ন রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন, বিধায় তার নমুনা পরীক্ষা করা জরুরী। শনিবার রামেক হাসপাতালের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান করোনাভাইরাস চিকিৎসা টিমের আহ্বায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ।
তিনি জানান, এছাড়া তিন জন পুরুষ ও এক জন নারী রোগীকে রামেক হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। উপসর্গ ছাড়া করোনাভাইরাস টেস্টের প্রয়োজন নেই। রাজশাহীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা কম। এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া য়ায়িনি।

তিনি আরও বলেন, ওই নার্স গত ১০ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। এছাড়া তার করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার অন্যান্য উপসর্গগুলোও রয়েছে। তাই তাকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গত ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে চালু করা হয়েছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব। শুক্রবার পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের সাতজনের নমুনা সংগ্রহ করে এ ল্যাবে পাঠানো হয়। তবে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচজনের। এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া পায়নি।