ওয়ালটন সংবর্ধনা দিল শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সাদাতকে

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

ওয়ালটন সংবর্ধনা দিল শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সাদাতকেস্টাফ রিপোর্টার, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সাদাত রহমানকে সংবর্ধনা দিয়েছে ওয়ালটন। সাইবার বুলিং ও সাইবার অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় সাদাতকে ওই পুরস্কার দেয় ‘কিডস রাইটস’ নামের একটি সংগঠন।

‘শিশুদের নোবেল’ খ্যাত ওই পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনায় সাদাতকে সংবর্ধনা দিল ওয়ালটন। এ উপলক্ষে বুধবার (১৮ নভেম্বর) ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

এ সময় সাদাতের হাতে ক্রেস্ট ও স্বর্ণপদক তুলে দেন ওয়ালটন করপোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, ওয়ালটন গ্ররুপের পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা এবং নিশাত তাসনিম শুচি।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে সাদাত রহমানের প্রতিষ্ঠিত ‘নড়াইল ভলান্টিয়ার্স’কে ফান্ডিং বাবদ ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

এ সময় সাদাত রহমানের বাবা মো. সাখাওয়াত, ওয়ালটন গ্ররুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা নিলু, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, মো. হুমায়ূন কবীর, কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, মো. রায়হান, মো. ফিরোজ আলম, আমিন খান, ও আনিসুর রহমান মল্লিক, সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজাদা সেলিম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাকিব উদ্দীন, ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অগাস্টিন সুজন, রাইজিংবিডির নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, করোনা বিপর্যয়ের মধ্যে মর্যাদাকর এ পুরস্কার জয়ের মাধ্যমে সাদাত সবার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। সাদাত তরুণদের কাছে আইকন। সে বাংলাদেশকে গর্বিত করেছে।

বর্ণাঢ্য সংবর্ধনার মাধ্যমে তাকে সম্মানিত করায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান সাদাত রহমান। তিনি বলেন, সাইবার বুলিং একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। প্রতি ৩ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন। যখন কিশোর-কিশোরীরা বিপদে পড়ে, তখন সেটা কারো সঙ্গে শেয়ার করতে পারে না। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা ‘সাইবার টিনস’ অ্যাপস তৈরি করি। এর মাধ্যমে ১৩ থেকে ১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীরা প্রযুক্তিগত ও মানসিক সহায়তা পাচ্ছেন। গত এক বছরে আমরা আড়াইশ’র বেশি শিশু-কিশোরকে সাপোর্ট দিতে পেরেছি। এর মধ্যে আটজন সাইবার অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.