১৫ মাস আগে অপহৃত হয়েছিলেন লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার পাইকারটারী গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সোহাগী খাতুন।

২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোহাগীকে অপহরণ করে ফকিরপাড়া গ্রামের গিরিনের পুত্র প্রদীপসহ কয়েকজন। পরে ভারতে পাচার করা হয় সোহাগীকে। ভারতের শিলিগুড়ির পায়েল সিনেমা হলের কাছ থেকে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সোহাগীকে উদ্ধার করে পরিবার। এরপর থেকেই সোহাগী ভারতীয় পুলিশের হেফাজতে।

ফেরানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ- ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোহাগীকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।

সোহাগী হাতীবান্ধা উপজেলার সারডুবী গ্রামের সহিদুল ইসলামের মেয়ে। দেশে ফিরে এলেও এখনো পরিবারের কাছে ফিরতে পারেনি সে। বাংলাদেশী পুলিশ সোহাগী খাতুনকে আদালতে প্রেরণ করবেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল জানান, এই ঘটনায় আদালতে একটি অপহরণ মামলা চলমান রয়েছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর পুলিশের ইনচার্জ খন্দকার আল মাহমুদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।