অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অপর নাম রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Rajshahi_Pet_Care
উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

জেলা প্রতিনিধি ::- দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের গুঞ্জন শোনা গেলেও কোন কিছুকে কর্ণপাত করছেনা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। বিভিন্ন মহলের গুঞ্জন আর সাধারণ মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে যায় একদল মিডিয়াকর্মী। উঠে আসে হাসপাতালের বেহাল চিত্র। কে শোনে কার কথা আর কে দেখে কার আহাজারি।

ঘড়ির কাঁটা যখন ১২:৩০ মি: ঠিক তখনি হাজির মিডিয়াকর্মীর একটি টীম। হাসপাতালের সামনে দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা দরিদ্র সীমার নিচে থাকা অসহায় মানুষগুলো ভিড় করছে। সাংবাদিকরা সামনে যেতেই ছুটে আসেন কয়েকজন সাধারণ মানুষ। বলতে থাকেন তাদের কষ্টের কথা। তারা বলেন, এই হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিতে এসেছেন কিন্তু ডাক্তার নাই। তারা বলেন আমরা অনেক দুর থেকে এসেছি এর আগেও এসেছি ডাক্তার পাইনি। আজও একি অবস্থা। তাদের কথা শুনে আসেপাশের লোকজনের নিকট জিজ্ঞাসা করা হয় হাসপাতালের সম্পর্কে। বেরিয়ে আসে অনেক ভিতরের খবর।

দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাক্তার হিসেবে দ্বায়িত্বে আছেন ডঃ আসাদুজ্জামান। হাসপাতালের ভিতরে যায় মিডিয়াকর্মীরা, সেখানে গিয়ে দেখে হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক আসাদুজ্জামান নাই। নাই ষ্টোর কিপারের দ্বায়িত্বে থাকা আঃ আজিজও। গোটা হাসপাতাল জুড়ে মাত্র ৪-৫জন লোকজন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় চিকিৎসার হাল। ডাঃ আসাদুজ্জামান ঠিক সময়মত অফিস করেননা । আবার হাসপাতালে আসলে খুব দ্রুত বের হয়ে যান। কেউ জানতে চাইলে বলেন আমার কাজ আছে। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসা ও দ্বায়িত্ব নিয়ে কথা বললে তারা বলেন স্যারের অনুমতি ছাড়া আমরা কোন তথ্য দিতে পারবোনা।

ফোন করে ডেকে নেওয়া হয় ষ্টোর কিপারের দ্বায়িত্বে থাকা আঃ আজিজকে। পরে এক পর্যায়ে ষ্টোর কিপার আঃ আজিজের মুঠোফোনে ডাঃ আসাদুজ্জামানের সাথে কথা বলা হয়। হাসপাতালের ডিউটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন করোনার কারনে ডিউটি এলোমেলো ভাবে হচ্ছে। এরপর ঔষধপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার এখানে সবাই ঔষধ পায়। এই হাসপাতালে কি কি ঔষধ পাওয়া যায় বা কি কি ওষুধ সংগ্রহে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখানে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়, তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ দরকার হয় না। যেটা প্রয়োজন সেটা রাখি।

এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলা হয়। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সম্পুর্ন উল্টো। এখানে চিকিৎসা নিতে আসলে রোগীদের ঔষধপত্র ঠিকভাবে দেওয়া হয়না। মাত্র কয়েকেদিন আগে কোটি টাকা বাজেটের ঔষধ কিনা হয়েছে। কিন্তু তবুও ঔষধ নাই কেন? তাহলে কি ঔষধ ঠিকভাবে কিনা হয়নি? এর উত্তর কে দিবে?……


উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সংবাদটি শেয়ার করুন

Discover more from UttorbongoProtidin.Com 24/7 Bengali and English National Newsportal from Bangladesh.

Subscribe to get the latest posts sent to your email.